মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ অপরাহ্ন
এস এল টি তুহিন, বরিশাল :বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের সমাগম ঘটেছে চোখে পড়ার মতো। অধিকাংশ হোটেল-মোটেলে কক্ষ খালি নেই। অথচ করোনা প্রকোপের কারনে কুয়াকাটার হোটেল- মোটেল কিংবা উন্মুক্ত সৈকতে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে হচ্ছে না কোনো অনুষ্ঠান। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে মাঠে কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। সোমবার সকাল থেকেই এ সকল পর্যটকের আগমন ঘটে সৈকতে। তবে আগত পর্যটকদের মধ্যে অধিকাংশই যুগল দম্পতি।
সৈকত ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম প্রান্তের লেম্বুরচর এবং পূর্ব প্রান্তের গঙ্গামতি সৈকত পর্যন্ত আগত পর্যটকদের পদচারনা। অনেকে আবার এসেছেন স্ব-পরিবারে। কেউ নেচে গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। আবার কেউ সৈকত তীরে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
এদিকে ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাবার পরিবেশন ও ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক, পর্যটকদের ছবি তোলায় নিয়োজিত ক্যামেরা শ্রমিকদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পর্যটক দম্পতি সোহান বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে দুইটি বছর ঘর কোনা হয়ে গেছি। তাই এবছর আর কোন বাঁধাই মানিনি। এখানে এসে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং সৈকতের রূপ বৈচিত্র উপভোগ করছি।
অপর এক পর্যটক আবুল কালাম বলেন, কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের সর্বত্রই রয়েছে সোন্দার্য্যরে ভান্ডার। এখানে প্রকৃতি প্রেমীরা এসে খুব মজা পাবেন। ভালোবাসায় আবদ্ধ যুবক-যুবতী এবং নবদম্পতিদের দখলে এখন কুয়াকাটা। করোনা পরিস্থিতির কারনে গত কয়েক বছরের চেয়ে পর্যটকদের সংখ্যা খুবই কম। তবে বিকেলে পর্যটকদের আগমন কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হোটেল গোল্ডেন ইন’র পরিচালক কে এম জহির খাঁন বলেন, তাদের হোটেলে কাপলদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও বাহারী চকলেট দিয়ে বরন করা হবে। তবে পর্যটকদের করোনা ভাইরাসের টিকা কার্ড এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পর্যটকদের রুম বুকিং দিচ্ছি। অনেকেই এখন অনলাইনে রুম বুকিং নিচ্ছে। ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে হোটেলের সবকটি রুম বুকিং থাকবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারি পুলিশ সুপার মো.আবদুল খালেক বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানতে পর্যটকদের সচেতনতায় প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে।